আমাদের ইউনিয়নের উল্লেখ করারমত বড় বড় দর্শনীয় স্থান না থাকলেও ছোট ছোট অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে। আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে মাত্র ২/৩ কিলোমিটার পূর্বদিকে মুক্তিশ্বরী দনী বয়ে গেছে। যা বর্তমান জেলে এবং মৎস্যজীবিদের একমাত্র আয়রোজগারের পথ বলে অনেকে মনে করে। এই নদীতে সকাল-বিকাল মৎস্যজীবিরা মাছ ধরে স্থানীয় বাজারে তা বিক্রয় করে থাকে। এই নদীর নামে নামকরণ করে পাঁচবাড়িয়া-পাঁচকাটিয়া গ্রামে মুক্তিশ্বরী ডিগ্রী ও অনার্স কলেজ গড়ে উঠেছে। অন্যান্ত আনন্দের বিষয় এই কলেজটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিকমুক্ত এবং প্রতিবছর পাশের হার লোভনীয়। যার ফলে দিন দিন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমাদের ইউনিয়নের অধিকাংশ ৯৬ এলাকার ভিতর অন্তরভূক্ত। যেখানে অধিকাংশ সময় জলাবদ্ধতা বিরাজ করে। আমাদের ইউনিয়নে ছোট ছোট বিলে অন্তরভূক্ত যেখানে বর্ষ মৌসুমে পানিতে একাকার হয়ে যায় এবং মৎস্যজীবিরা নৌকা, ডোঙ্গা, কলাগাছের ভেলায় চড়ে ঘুনি, চারো, জাল নিয়ে মাছ ধরতে যায়। দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। আবার ইরী মৌসুমে যখন বিলের পানি সরে যায় তখন কৃষককেরা ইরী ধানের চাষ করার কাজে ব্যস্ত থাকে এবং মৎস্যজীবিরা মুক্তেশ্বরী নদীতে মাছ ধরতে যায়। ইরী ধান বড় হলে এই এলাকা সবুজে একাকার হয়ে যায়। যা আসলেই নজর কাড়ার মতো। কিন্তু তা আমরা কয়জনে দেখি। রবীন্দ্রনাথের কবিতা মত বলতে হয়- ঘর থেকে দু'পা ফেলিয়া দেখি একটি ধানের শিষেরর উপর একটি শিশির বিন্দুল।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস